প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে পাবনা-৪ আসনের নির্বাচন। শুরু হয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্বাচনী শোডাউন। |
এই উপনির্বাচনের রির্টার্নিং অফিসার ও পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক বরাদ্দ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস নৌকা, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ধানের শীষ এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিমের নামে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারনায় মাঠে নেমে পড়েছেন নৌকা ও ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকরা। তবে লাঙল প্রতিকের প্রার্থী রেজাউল করিম কিংবা জাতীয় পার্টির কোনো কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি।
আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে দোলন বিশ্বাস জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর বুধবার ঈশ্বরদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নির্বাচনী যৌথসভার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। ঈশ্বরদী উপজেলা আ’লীগ কার্যালয়ে দলের সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান মিন্টুর পরিচালনায় এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে দলীয় প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস নিজেও উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে নির্বাচনী মিছিল বের করে শহরে।
এদিকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, বুধবার দুপুর ২টার পর থেকে আমরা মাইকিং করার মাধ্যমে ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। প্রথম দিনে স্থানীয়ভাবে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করা ছাড়াও খণ্ড খণ্ড মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতিকের প্রার্থী রেজাউল করিমের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাক্ষাৎ কিংবা মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়ার কোনো এলাকায় তাদের নির্বাচনী প্রচারণার খবরও পাওয়া যায়নি।