২৫ বছর পর ডিলু পরিবারের বাইরে পাবনা-৪

 

 প্রয়াত সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুরসহ ছবি উপরে বাঁ থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর স্ত্রী কামরুন নাহার শরীফ, ছেলে গালিবুর রহমান শরীফ, মেয়ে মাহজেবিন শিরিন, জামাতা আবুল কালাম আজাদ, খালাতো ভাই বশির আহম্মেদ এবং ভগ্নিপতি হাবিবুর রহমান। 

নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা ২৫ বছর পর পাবনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস। তাকে মনোনয়ন দেয়ার মধ্যে দিয়ে পাবনা- ৪ আসনে ডিলু পরিবারের একচ্ছত্র আধিপত্যর পতন হয়েছে।

আজ বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পাবনা-৪ আসনে নুরুজ্জামান বিশ্বাসের মনোনয়নের তথ্য নিশ্চিত করা হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন পেতে ডিলু পরিবারের মোট ছয়জন সদস্য দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন। ডিলুর স্ত্রী ও ঈশ্বরদী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুন নাহার শরীফ, বড় ছেলে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ, বড় মেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাহজেবিন শিরিন, শিরিনের স্বামী ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর খালাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বশির আহম্মেদ এবং ভগ্নিপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান উপনির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচিত এলাকায় ছিলো পরিবারের একচ্ছত্র রাজত্ব। আওয়ামী লীগ সাম্প্রতিক সময় যে শুদ্ধি অভিযান করছে এবং দলে ত্যাগী পরীক্ষিতদের যে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং দলের ভিতর অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তারই অংশ হিসাবে নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে মনোনয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

পাবনা-৪ আসনে উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নুরুজ্জামান বিশ্বাস ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও একজন মুক্তিযোদ্ধা।

উল্লেখ্য যে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য  সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। তার মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।